অনলাইনে মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা
আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাত্রায় সকলে মোবাইল ব্যবহার করে থাকি। শুধু মোবাইল ব্যবহার করিনা মোবাইল ব্যবহারের সাথে প্রতিনিয়ত আমরা মোবাইলে রিচার্জ করে থাকি। মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা সম্পর্কে অনেকেই আমরা জানি না তবে আমাদের প্রতি তিনি মোবাইল ফোনে রিচার্জে দরকার পড়ে ।
আসলে মোবাইল রিচার্জ কি? এই মোবাইল থেকে অন্য মোবাইল নিয়ে কথা বলার জন্য আমাদের মোবাইলে ব্যালেন্স থাকা প্রয়োজন। এই ব্যালেন্স যখন ফুরিয়ে যায় তখন আমাদের মোবাইল ফোনের সিমে টাকা রিচার্জ দেওয়ার লাগে।
মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা
বর্তমান ডিজিটাল যুগে সবাই ব্যবহার করে। মোবাইল ফোনে কথা বলা ছাড়া অন্য মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য মোবাইল ফোনে রিচার্জ এর প্রয়োজন পড়ে। মোবাইল ফোনে ব্যালেন্স না থাকলে মোবাইলে আমরা কোন কাজই করতে পারি না। তাই আমাদের মোবাইলে যখনই ব্যালেন্স ফুরিয়ে যায় তখনই আমাদের রিচার্জ দেওয়ার লাগে।
মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা আসলেই খুব লাভজনক। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ এই মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছে। কম খরচে এবং কম পরিশ্রমে মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা করা সম্ভব। মোবাইল ব্যবহার দিন দিন বাড়িতেই আছি তার সাথে মোবাইল রিচার্জের চাহিদাও কিন্তু বেড়ে চলেছে।
মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা করে আপনারা সহজে মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করেছেন করতে পারবেন ।
১। মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা স্থান নির্ধারণ
মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা শুরু করার পূর্বে আপনাকে আগেই ব্যবসার স্থান নির্ধারণ করে নিতে হবে। ব্যবসার স্থান নির্ধারণ করা হলে পরবর্তীতে আপনি মোবাইল রিচার্জ এর সব কাজে বেপারে চিন্তা করতে হবে। যেমন:
- বাজারে মাঝামাঝি কোন স্থানে নির্ধারণ
- শপিং মল রেস্টুরেন্ট হাসপাতালের কাছাকাছি কোন স্থান
- প্রথমে গ্রাহকের চোখে পড়বে এমন কোন স্থানে নির্ধারণ
মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসার স্থান নির্ধারণ করার আগে মনে রাখা উচিত যে ব্যবসা স্থান এমন জায়গায় হয় যেন গ্রাহকের কাছাকাছি হয়ে থাকে।
২। মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা প্রয়োজনীয় জিনিস
বর্তমান সময়ের মোবাইল রিচার্জ ব্যবসার জন্য তেমন কিছু একটা প্রয়োজন পড়ে না। শুধুমাত্র স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেটের সাহায্যে সফটওয়্যার ব্যবহার করে খুব সহজে মোবাইল রিচার্জ করা যায়।
স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন এর সাহায্যে আপনি এই ব্যবসাটি খুব সহজেই শুরু করতে পারেন এবং অল্প সময়ে লাভবান করতে পারবেন।
৩। মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা মূলধন
৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে শুরু করে দিতে পারেন মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা । তবে মাথায় রাখতে হবে আপনার এই মূলধন নির্ভর করবে আপনার আনুষাঙ্গিক খরচে এর উপর
৪। লাভ
আপনি প্রতিদিন যত বেশি মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন আপনার তত বেশি লাভ থাকবে। নিচে বিস্তারিত তালিকা দেওয়া হল
১,০০০ টাকা রিচার্জের উপর কমিশন প্রদান করে। নিচে তালিকাটি দেয়া হলো:
মোবাইল কোম্পানি | কমিশন |
---|---|
গ্রামীণফোন | ২৭ টাকা ৫০ পয়সা |
বাংলালিংক | ২৭ টাকা ৫০ পয়সা |
টেলিটক | ৩০ টাকা |
এয়ারটেল | ২৮ টাকা |
রবি | ২৭ টাকা ৫০ পয়সা |
৫। ব্যবসা প্রচার করা
যেকোনো নতুন ব্যবসা শুরু করার আগে ব্যবসার প্রচার করা খুবই জরুরী। ব্যবসার প্রচার না করলে কেউ বুঝতে পারবে না আপনার ব্যবসা সম্পর্কে। তাই আপনার উচিত ব্যবসার জন্য একটি প্যানারবা পোস্টার বড় করে ছাপাতে হবে যা দেখি গ্রাহক বুঝতে পারবে এবং আপনার কাছে মোবাইল রিচার্জ করাতে আসবে।
৬। অর্থের অপচয় না করা
নতুন ব্যবসার ক্ষেত্রেই ব্যবসা প্রচার এবং ব্যবসার স্থান করতে গিয়ে অনেকেই বেশি টাকা অপচয় করে ফেলে। তাই অযথা অর্থ অপচয় করার কোন মানেই হয় না। আপনি ছোট্ট একটি স্থানে কেউ মাত্র একটি টেবিল একটি চেয়ার নিয়ে ব্যবসা শুরু করে দিয়েন এর জন্য অনেক বেশি টাকা প্রয়োজন করতে হবে না।
পরিশেষে: আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি কিভাবে আপনি মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এবং ভালো পরিমানের একটা লাভ করতে পারবেন। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করবেন।